জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট: বাগেরহাটে দুই সন্তানের জননী ও ইন্সুরেন্স কর্মীকে (২২) ধর্ষন চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ৪ বখাটের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১০এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চরকুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাজার শাখার কর্মী। আহত ওই নারীকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী বলেন, আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করার পর দুই সন্তানকে নিয়ে চরকুনিয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকি। ওই গ্রামের মুনসুর শেখের ছেলে আমিনুর শেখ (২৮) দীর্ঘদিন ধরে আমকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমি তাকে বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছিলাম। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়। শনিবার ভোরে বাড়ির পাশের একটি দোকানে শ্যাম্পু কিনতে যাই। সেখানে আমিনুর ও তার সহযোগি চরকুনিয়া গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে হাফিজ গাজী (২৯), আবুল হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদার (২৫) ও কুনিয়া গ্রামের নোয়াব আলী শেখের ছেলে শিহাব শেখ (৩২) অশ্লীল ভাষায় উত্ত্যক্ত করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমিনুর আমার চুল ধরে দোকানের ভিতর ফেলে দেয়। তারা আমার ওপর হামলে পড়ে ধর্ষণের জন্য ধস্তাধস্তি করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে আমি সেখান থেকে বাইরে বেরিয়ে আসি। পরে সবার সামনেই ৪ বখাটে আমাকে মারপিট করে।
চরকুনিয়া গ্রামের এলিজা বেগম, জগরুল শেখ সহ প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, দুই সন্তানের জননী জামাকাপড় ছেড়া অবস্থায় চিৎকার করতে করতে দৌড়ে এসে জানায় তাকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে। এরপর ওই নারী বকাঝকা করতে থাকলে সবার সামনেই তাকে মারপিট করে আমিনুর ও তার ৩ সহযোগি।
এ বিষয়ে জানতে আমিনুর শেখের মুঠোফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। মুঠোফোনে ক্ষুদ্র বার্তা দিয়েও তার কোন সাড়া মেলেনি। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত শিহাব শেখ বলেন, ‘এ ঘটনার আমি কিছুই জানি না। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা ঘটনা রটাচ্ছে।’
বাগেরহাটের চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক বলেন, শ্যাম্পু বিক্রি নিয়ে চরকুনিয়া বাজারে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নারী নির্যাতন বা মারপিটের কোন খবর আমরা পাইনি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
-মনোজ সাহা